সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ মনিরুলের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৪ | ৪:৪৩
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৪ | ৪:৪৩
Link Copied!

ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে শনিবার (৮ জুন) রাতে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

সোমবার (১০ জুন) সকালে তার লাশ তার বাড়িতে আনা হয়। এ সময় নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে স্থানীয় ঈদ গাঁ মাঠে তার জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরে দাফন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নিহত মনিরুল নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শামসুউদ্দিন মাস্টারের তিন ছেলের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ছোট। ২০১৮ সালের নিয়োগে তিনি কনস্টেবল পদে পুলিশে যোগদান করেন। দুই বছর হয়েছে তিনি বিয়ে করেছেন, তার ১ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, সকালে খবর পাওয়ামাত্র তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখলাম বাড়ির লোকজন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা ঢাকায় কথা বলেছি সেখানের পুলিশের সহযোগিতায় লাশ আনার ব্যবস্তা করছি।

বিজ্ঞাপন

আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় লাশ নিহতের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ।

শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে দুজন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘নিহত কনস্টেবলের পরিবার বর্গের জন্য পুলিশ বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ: