ঈদযাত্রায় প্রস্তুত ৭২ কোচ,শিগগিরই যুক্ত হবে আরও ৯০টি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৫:২৭
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৫:২৭
Link Copied!

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে রেকর্ডসংখ্যক কোচ মেরামত করা হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। জনবল সংকট ও বাজেট স্বল্পতার মধ্যেও ঈদে চাহিদা মতো কোচ সরবরাহ করতে মেরামত করা হচ্ছে বাড়তি ৯০টি কোচ। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা ৭২টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে। যা ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর মধ্যে ৫৯টি ব্রডগেজ ও ১৩টি মিটার গেজ কোচ। এসব কোচ রেলওয়ের পাকশী ও লালমনিরহাট ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৮টি কোচের মেরামত কাজ চলছে। যা পর্যায়ক্রমে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে হস্তান্তর করা শেষ হবে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে কারখানার ২৯ সপে (উপ-কারখানা) ২ হাজার ৮৫৯ জন লোকবলের বিপরীতে মাত্র ৮৬০ জন কর্মরত আছেন। আর এর সঙ্গে রয়েছে বাজেট স্বল্পতা। এমন নানা সমস্যার মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে অধিকসংখ্যক কোচ মেরামত করা হচ্ছে। কারখানার পাঁচটি সপে কোচ প্রস্তুতের কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা ৭২টি কোচ রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে কোচ মেরামতের লক্ষ্যপূরণ করতে দৈনিক ও ছুটির দিন মিলিয়ে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। আর এসব মেরামত করা বাড়তি কোচ দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ঈদযাত্রায় আগে ও পরে ঈদ স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে। আর অবশিষ্ট কোচ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে যুক্ত করা হবে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনবহরে। এতে ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে রেলওয়ে। এতে করে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

  সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের ইনচার্জ প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে কারখানায় বাড়তি কোচ মেরামত করা হয়। এবারও মেরামত করা হচ্ছে ৯০টি কোচ। কারখানার ক্যারেজ, বগি ও পেইন্ট সপে কোচের বডি, ট্রলি ও রঙের কাজ হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যেও শ্রমিক-কর্মচারীরা দৈনিক কর্ম ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন লক্ষ্যপূরণে। আশা করি, এসব অতিরিক্ত কোচ ট্রেনে যুক্ত হলে ঈদযাত্রায় যাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।

পেইন্ট শপের শ্রমিক আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের শপের কাজ হচ্ছে প্রস্তুত করা কোচগুলো রং করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। লোকসংখ্যা কমের কারণে খুব কষ্টের মধ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রেল যেহেতু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা সেবার জন্য সবসময় বেশি করে শ্রম দিই। যাতে ঈদে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি না হয়।

ক্যারেজ শপের শ্রমিক সাকিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ আসলে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বাড়ে। এখন কাজের জন্য দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ ঘনিয়ে আসছে, তাই কাজের চাপও বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত রেলকোচ মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রেলওয়ে কারখানা শ্রমিকরা। ইতেমধ্যে ৭২টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করি, সময়মতো রেলকোচ মেরামত সম্পন্ন হবে এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে রেলওয়ে। ফলে ঈদযাত্রায় যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন স্বস্তিতে।

ট্যাগ: