ফুটপাতে কিমা পুরি বিক্রি করে মাসে আয় অর্ধলাখ টাকা

নিজিস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৪:৪১
নিজিস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৪:৪১
Link Copied!

দেশে শিক্ষিতদের হার বাড়ার পাশাপাশি যখন বেকারত্বের হার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তখন স্বল্প শিক্ষিত মানুষ অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করছেন এমন ভাসমান ব্যবসা। স্বাদে নামিদামি রেস্টুরেন্টের চেয়ে এখানকার কিমা পুরি কোনো অংশে কম নয়। তাই সব শ্রেণিপেশার মানুষই ভিড় করেন পদ্মাপাড়ের এই কিমা পুরি খেতে।

রেস্টুরেন্টগুলোতে এসব মুখোরোচক খাবার প্রস্তুত করে সাজিয়ে রাখা হলেও ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে খাবার প্রস্তুত হওয়ার আগেই ক্রেতাদের ভিড়ে তা শেষ হয়ে যায়। যাতায়াতের সময় মুখোরোচক এসব খাবার খান অনেকেই।

মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটে কিমা পুরি বিক্রি করে মাসে অর্ধলাখ টাকা আয় করেন মোস্তাফিজুরসহ ফুটপাতের ৪ জন ব্যবসায়ী। কিমা পুরির পাশাপাশি তাদের ভাসমান দোকানগুলোতে বিক্রি হয় চিকেন ফ্রাই, চিকেন মোগলাই, চিকেন চপ, আলু চপ, সিংগাড়া ও পেয়াজু।

বিজ্ঞাপন

আলু, পেঁয়াজ, মুরগির মাংস ও মসলা দিয়ে বানানো হয় কিমা পুরির রেসিপি। তারপর ময়দায় খামির ছোট করে কেটে তার ভেতরে আলু, পেঁয়াজ মুরগির মাংসের তৈরি রেসিপি ভরে তেলে ভেজে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় এটি। প্রতি পিচ কিমা পুরি ও চিকেন চপ বিক্রি হয় ১০ টাকা করে আর পেঁয়াজু বিক্রি হয় ৫ টাকা করে।

খেতে আসা স্থানীয় একজন বলেন, এখানকার কিমা পুরিটা আমার খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন এখানে এসে আমরা এটা খাই।

স্থানীয় আরেকজন বলেন, অন্যান্য দোকানের চেয়ে এখানের পুরিটা অনেক ভলো। আমি প্রায়ই নেই। বাসার সবাই মিলে খাই।

বিজ্ঞাপন

প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার কিমা পুরি বিক্রি হয়। এছাড়া অন্যান্য মুখোরোচক খাবার মিলে এই ব্যবসায়ীদের আয় প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। সরকারি জায়গায় দোকান থাকায় কাউকে দিতে হয় না ভাড়াও।

ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খাবারের গুণগতমান এখন প্রায় সবাই বোঝে। ভালো জিনিস সবাই খেতে চায়। আমাদের এখানে যা আছে তাতে কোনো ভেজাল নেই। স্থানীয়রা ছাড়াও পাবনার লোকজন এই রুটে বেশি চলাচল করে। তারা এই পুরির অন্যতম গ্রাহক।

স্বাদে অনন্য হওয়ায় জেলার পাশাপাশি পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা থেকেও অনেকেই আসেন এই কিমা পুরি খাওয়ার জন্য। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে ভাসমান এই দোকানগুলো।

ট্যাগ: