বন্যায় প্লাবিত সিলেটে কয়েকটি গ্রাম

বিশেষ প্রতিদেকক
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৪ | ৭:২২
বিশেষ প্রতিদেকক
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৪ | ৭:২২
Link Copied!

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এরইমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছেন সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এ যেন ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার তাড়া করছে।

তবে মঙ্গলবার (৪ জুন) বৃষ্টি কম হওয়ায় আর পানি বাড়েনি। তবে ফের বৃষ্টি নামলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার সরেজমিন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ দিনের অবিরাম বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। স্কুল, মাদ্রাসাসহ রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বাওনপুর, মুছেধর, ছরগাঁও, হোসেনপুর, ঘাষিগাঁও, পাহাড়পুর, লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাওসহ ১নং ও ২নং ওয়ার্ডে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানিতে দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এরইমধ্যে বন্যার পানিতে ফসল, হাঁস, মোগর ও মাছের খামারে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২ হেক্টর আউশধান, ৩ হেক্টর আউশের বীজতলা ও ৪ হেক্টর সবজি পানির নিচে চলে গেছে।

এদিকে লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণের ঘরে হাঁটু পানি রয়েছে। সেখানকার ১৯টি পরিবারের মধ্যে ৮টি পরিবার মির্জারগাঁও প্রাথমিক স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে ও বাকিরা আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত তিন ধরে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়ণের ঘরেও পানি উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, মির্জারগাঁওয়ের ১৯টি পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রীও দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বন্যা হয়েছে। সেগুলোর জন্য ১১ চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে পানি ঢুকেছে। আমি সরেজমিন দেখে এসেছি এবং সরকারের দেওয়া কিছু শুকনো খাবার ও চাল সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

 

ট্যাগ: