মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া মাদ্রাসার নির্বাচনের আগেই ৮জনের মধ্যে ৫ জনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা

শফিকুল ইসলাম সুমন
আপডেটঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:২২
শফিকুল ইসলাম সুমন
আপডেটঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:২২
Link Copied!

মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি নির্বাচনের আগের দিন বৈধ ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে বিধি বর্হিভূত ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও ঠিকানাবিহীন ভোটার করায় পতানো নির্বাচনের অভিযোগ তুলে প্রার্থীরা  নির্বাচন বর্জন ও পুনঃরায় তফসিল ঘোষনার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য অভিভাবক প্রার্থী শামসুল হক বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন। এতে ৯ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) নীতিমালা ৫.৩ এর খ অনুযায়ী শুধু মাত্র ১ম শ্রেণি থেকে ১৭টি শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাই ভোটার হতে পারবেন। কিন্তু অধ্যক্ষ নিয়মের বাইরে গিয়ে প্লে শ্রেণিতে ৪০ জন অভিভাবক ভোটার এবং ডিগ্রী পাস কোর্সে ৪৮ জন অভিভাবক ভোটার করেন। এছাড়া ৭ম শ্রেণিতে ৩৩ জন শিক্ষার্থী থাকলেও অভিভাবক ভোটার করেছেন ১০০ জন। যাতে মোট ভোটার সংখ্যার ৯১৫ জনের মধ্যে ১৫৫ জন অবৈধ ভোটার করা হয়েছে।

অপর দিকে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত নীতিমালার ৭.৪ এর (ঙ) ধারা মোতাবেক অভিভাবক ভোটার তালিকা প্রনয়নের বিধান রয়েছে প্রত্যেক ভোটারের নাম ও ঠিকানা থাকতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় শুধুমাত্র নাম ও ঠিকানার স্থানে মানিকগঞ্জ লেখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়  মাদ্রাসার খন্ডকালিন শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ, সিয়াম হোসেন , মহিদুল হক ও মোঃ সালাহ উদ্দিন ভোটারদের কাছে অধ্যক্ষের পছন্দের প্রার্থী আব্দুস সালাম, আশরাফুল ইসলাম ও নিজামুল হকের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন যা নির্বাচন আচরন বিধি বর্হিভূত। অধ্যক্ষ একটি পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। তাই ৮জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন এই নির্বাচন বর্জন করছি ও সঠিক ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে পুনঃতফসিল ঘোষার দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

অভিভাবক প্রার্থী শাহিনুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি জেলা প্রশাসক অথবা তার প্রতিনিধি প্রিজাইডিং অফিসার হওয়ার কথা থাকলেও অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান নিজে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন গত ২৪ জানুয়ারি। পরে আদালতে মামলা হলে অধ্যক্ষ কৌশলে ৭ম শ্রেণির প্রকৃত ভোটার ৩৩ জনের স্থানে নতুন করে আরো ৬৭ জন ভূয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক দেখান। এছাড়া প্রথমে অধ্যক্ষ নিজে প্রিজাইডিং অফিসার থাকলে নির্বাচনের আগের দিন জানতে পারি প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে সহকারী কমিশনার  ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাবিহা সুলতানা ডলিকে। এসংক্রান্ত কোনো নোটিশ প্রার্থীদের ও  বোর্ডে টানানো হয়নি।

এব্যাপারে অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন নিয়ম মেনেই ভোটার তালিকা করা হয়েছে। ৮জন প্রার্থীর মধ্যে ৫জন এক হয়ে নির্বাচন বন্ধের জন্য আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে বৃহস্পতিবার তাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি। এখন বিধি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এব্যাপারে সহকারী কমিশনার  ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রিজাইডিং অফিসার সাবিহা সুলতানা ডলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক পদে তিনি নিজে  প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন আর অধ্যক্ষ দাতাসদস্য ও  শিক্ষক প্রতিনিধির নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যক্ষ কি ভাবে তফসিল ঘোষনা করেন ও  তিনি নিজে তফসিল ঘোষনা করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে  সাবিহা সুলতানা ডলি বলেন বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: