মানিকগঞ্জ-২ আসনে মমতাজের কোনো বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৩:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৩:৩২
Link Copied!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকা আসন খ্যাত ১৬৯, মানিকগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় নৌকা প্রতীক প্রার্থী দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করছেন আসনটির সাধারণ জনগণসহ আ. লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

দ্বাদশ,জাতীয়,সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরিরামপুরের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে কথা জানা যায়, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে সিংগাইর হরিরামপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা নজির বিহীন। স্বাধীনতার পরে এমন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়নি।

মমতাজ বেগম হরিরামপুর পদ্মা ভাঙন রোধে যে কাজ করেছে তাতে মমতাজ বেগমের বিকল্প কেউ নেই বলেও সাধারণ ভোটাররা দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের শামসুদ্দিন জানান, মমতাজের মাধ্যমে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তাতে আমাদের জন্য মমতাজ বেগমই ভাল। আমরা আবারও তাকেই চাই। আসলে যে যাই বলুক মমতাজের বিকল্প এখানে এখনও তৈরি হয়নি।

গোপীনাথপুর উজানপাড়া গ্রামের আফসার উদ্দিন জানান, আমার বাড়ি নদীতে দুইবার ভাঙছে। এখন পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে আছি। আমাদের এখানে নদী ভাঙনে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, যদি মমতাজ বেগম ভাঙনরোধে কাজ না করত, এখন যেখানে আছি তাও থাকতে পারতাম না। তাই আমাদের চাওয়া আবারও মমতাজ বেগমই এমপি হোক। আমরা সবাই মমতাজকেই চাই। কারণ তার সাথে সুখ দুঃখের কথা বলা যায়। তিনি একজন শিল্পী মানুষ। সাধারণ মানুষের কষ্ট সে বোঝে।

কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, একমাত্র মমতাজের কারণেই আমরা এখনও টিকে আছি। যেভাবে ভাঙন দেখা দিছিলো, জরুরিভাবে যদি সে জিও ব্যাগ না ফালাইতো তাইলে এখন যা আছে, তাও এতোদিন থাকতো না। তাই আমরা মমতাজ বেগমকেই আবারও ভোট দিব। আমাদের জন্য তারই দরকার।

বিজ্ঞাপন

একই গ্রামের শাকিল গাজী বলেন, বিগত দিনে কেউ আমাদের নদী ভাঙন রোধে কাজ করে নাই। একমাত্র মমতাজ বেগমের সহায়তায় আমাদের নদী ভাঙনের কাজ হয়েছে, এতে মমতাজ বেগমের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই এবং তার বিকল্পও কেউ নাই। তাই আমরা তার পক্ষেই আছি। তার কোনো বিকল্প নাই। সে আপামর সাধারণ জনগনের নেতা।

জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইউসুফ আলী বলেন,

জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাজী মো. ইউসুফ আলী বলেন, হরিরামপুরের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন মমতাজ বেগম। পদ্মা ভাঙন রোধে মমতাজ যে কাজ করেছেন, এটা অবিস্মরণীয়। উপরও আল্লাহর রহমত, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি, আর মমতাজ বেগমের প্রচেষ্টায় আজ হরিরামপুরের জনগণ নদী ভাঙন রোধে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। শুনেছি ইদানিং একজন টাকাওয়ালা নাকি কোটি কোটি ছিটিয়ে নির্বাচনে আসছেন।  আগে কখনও এ অঞ্চলের জনগণ তাকে দেখা তো দূরের কথা, নামও শোনেনি। আমাদের কিছু স্বার্থলোভী নেতারা ওই কালো টাকার গন্ধে তার পেছনে আছেন। তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা মমতাজ বেগমের সাথে আছি। আপামর সাধারণ মানুষ মমতাজ বেগমের সাথে আছে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদপুষ্ট মমতাজ বেগমের ওপরেই আস্থা এবং ভরসা রাখি। কারণ নৌকা মার্কা আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা এদেশের আপামর জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা। । আর সেই মার্কাটাই জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাজ বেগমকে দিয়েছেন। তার হাত ধরেই আগামীতে এ আসনে চলমান উন্নয়ন আরও বেগবান হবে, ইনশাআল্লাহ।

সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান ভিপি শহিদ জানান, নৌকা প্রতীক হলো জাতির জনকের প্রতীক। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক। এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক। আর এই প্রতীকেই মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে মমতাজ বেগমকে মনোনীত করেছেন স্বয়ং জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমরা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মমতাজ বেগমের ওপরেই আস্থাশীল। সাধারণে জনগণও মমতাজ বেগমের পাশে আছে। কারণ তার বিন্দু পরিমাণ দুর্নীতির রেকর্ড নাই। তিনি যা,বরাদ্দ পেয়েছেন তার সবটুকুই জনগণের বন্টন করেছেন। আমাদের দলের দুই চারজন যারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে কিছু কালো টাকার লোভে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির পছনে ছুটাছুটি করছেন, তিনি জনবিচ্ছিন্ন। এদেশের মানুষ কেউ তাকে চিনে না। এক বছর ধরে এসে কালো টাকা ছিটিয়ে জনগনের সেবা করতে এসেছে৷ অথচ জীবনে সাধারণ জনগণ তার চেহারাই দেখেনি। দলীয় দিকবেদিক ছুটাছুটি করা নেতাকর্মীদের বলব, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রতিনিধির ওপর আস্থা রাখুন। দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করুন। কারণ মানিকগঞ্জ-২ আসনের জন্য মমতাজের কোনো বিকল্প নাই।

ট্যাগ: