ময়মনসিংহের ত্রিশালে মাদ্রাসা শিক্ষকের অশ্লীল চ্যাটে অভিভাবকরা আতংকিত!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেটঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৭:১২
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেটঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৭:১২
Link Copied!

ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল চ্যাট ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। মাদ্রাসা শিক্ষকের এহেন চারিত্রিক স্খলনে বিস্মিত অভিভাবক সমাজ।

ঐ মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম, তালহা। তালহা ত্রিশালের বড় মসজিদ মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা ও মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাদ্রাসা পরিচালনার আড়ালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নারী, ছাত্রী, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগে রাখতেন এবং অশ্লীল, নোংরা চ্যাট করতেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালহা পারিবারিক ভাবে বিবাহিত। মাদ্রাসায় শিক্ষাকতা করেন। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার দায়িত্বে আড়ালে মেয়েদের সাথে নোংরামি করতেন। এক সন্তানের পিতা তালহা কিছুদিন আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত এক নারীর সাথে দেখা করতে ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়িয়া যান। ফেসবুক চ্যাটে বিভিন্ন নোংরা অঙ্গ ভঙ্গির ছবি পাঠাতেন তালহা। নারীদের কাছেও বিভিন্ন নোংরা ছবি ও ভিডিও কলে কথা বলতে চাইতেন। তালহার এমন কর্মকান্ডে হতভম্ব ও আতংকিত ত্রিশালের অভিভাবক সমাজ। তালহার বিভিন্ন কুরুচিপুর্ণ চ্যাটের স্ক্রীন শট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অশ্লীল চ্যাট ফাঁস হওয়ার পরপরই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কিন্তু মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির কিছু সদস্য তালহার পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন। তারা চাইছেন তালহা আবার মাদ্রাসায় ফিরুক।
ফেসবুক চ্যাটে দেখা যায়, তালহা তার একাধিক নগ্ন শরীর ও গোপনাঙ্গের ছবি বিভিন্ন নারীদের পাঠিয়েছেন। গোপনাঙ্গের ছবি পাঠিয়ে তিনি নারীদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চাইছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন জানান, একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন চরিত্রিক স্খলন হলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? আমরা এই মাদ্রাসায় আমাদের সন্তানদের শিক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছি। তালহা যদি এই মাদ্রাসায় থাকে, তাহলে আমরা এই মাদ্রাসা থেকে আমাদের সন্তানদের অন্য মাদ্রাসায় নিয়ে যাবো। এরই সাথে আমরা শিক্ষক নামের কলংক এই শিক্ষকের বিচার চাই।

বিজ্ঞাপন

তারা জানান, যারাই তালহাকে মাদ্রাসায় ফিরাতে চাচ্ছেন, তাদের পরিবার বা সন্তানের সাথে যদি তালহা এমন কাজ করে তখন তারা কি করবেন ?
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরাও তালহার ব্যাপারে আগে থেকেই সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। তালহা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে মোবাইলে চ্যাট করতেন। ক্লাস রেখে হটাৎ করে বাইরে গিয়ে অল্প স্বরে কথা বলতেন। এখন তালহার এসব প্রকাশ হওয়ার পর তালহার সহকর্মী শিক্ষকরা তার সাথে শিক্ষকতা করতে অস্বীকৃতি ও তার বিচার চেয়ে মাদ্রাসা প্রধান বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

শিক্ষক তালহার এমন কর্মকান্ডের বিচার চেয়েছেন অনেকেই। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা জানান, তালহা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে আবার মাদ্রাসায় ফিরতে চাইছেন। তালহার মতো চরিত্রহীন, লম্পট যেনো মাদ্রাসায় ফিরতে না পারে, সে জন্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ত্রিশালের সচেতন নাগরিক সমাজ।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: