অভিযোগের তীর সিভিল সার্জনের দিকে
মাগুরার গ্রাম ডাক্তার প্রশিক্ষণ সনদ বিক্রি করে ৮২ লাখ টাকার অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ!
মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলার প্রায় এক হাজার গ্রাম ডাক্তারদের ১ মাস ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষনের সনদপত্র বিক্রি করে প্রায় ৮২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন ডা. দেওয়ান শহীদুল্লাহ ও ৪ উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মাগুরা জেলা গ্রাম ডাক্তার এসোসিয়েশনের সদস্যরাই এ অভিযোগ তুলেছেন। তারা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব এর দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে জানুয়ারি হতে এপ্রিল ২০২৩ পর্যনÍ মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলার প্রায় ১ হাজার গ্রাম ডাক্তারদের প্রাইমারী হেলথ কেয়ার নামে ১ মাস ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মাগুরা,শালিখা,শ্রীপুর ও মোহাম্মদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাগন এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। অর্গনাইজিং এর দায়িত্বে ছিলো বেসরকারী সংগঠন-এ হোপ (বি ভি ডি ডব্লিউ এফ) রেজি: নং ঢা ০৪৮৬২।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণকালে মাথাপিছু ৮ হাজার ২ শত টাকা হারে আদায় করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী গ্রাম ডাক্তারবৃন্দ। তাদের স্বীকারোক্তি অডিও ভিডিও রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
দেখা যায় এই সনদপত্র বিতরণকালে প্রায় ১ হাজার গ্রাম ডাক্তারের কাছ থেকে মাথা পিছু ৮ হাজার ২ শত টাকা হারে তুলে প্রায় ৮.২০০.০০০/-টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ এই টাকার কোন রশিদ প্রদান করা হয়নি।
এ দিকে যে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে সেটার সারমর্মে যেটি লেখা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটি গ্রাম ডাক্তারদের প্রাকটিস করার জন্য সরকার প্রদত্ত কোন লাইসেন্স। এটির বলে গ্রাম ডাক্তাররা নিজেদেরকে সরকার কর্তৃক রেজিষ্টার্ড গ্রাম ডাক্তার বলে পরিচয় দিচ্ছেন।
এ দিকে জেলার কোন সিভিল সার্জন বা কোন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এ ধরণের সনদ পত্র বিতরণের বৈধ অধিকারী নন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন। এ ধরণের বেআইনী কর্মকান্ড করলে বিভাগীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গন্য হবে বলেও তারা জানান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন দেওয়ান শহীদুল্লাহকে বারবার তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ দিকে মাগুরা জেলা গ্রাম ডাক্তার সমিতির নেতারা এই ঘটনার সুষ্টু তদন্ত, দোষী কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় ৮.২০০.০০০/- টাকা ফেরত পাবার দাবী তুলেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা প্রধানমন্ত্রী,স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।