দেশে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন, প্রধানমন্ত্রীকে আব্দুস সালাম

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৪ | ১০:১১
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৪ | ১০:১১
Link Copied!

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা বলা নেই। নতুন শিল্প কলকারখানার কথা নেই। আজকে শিক্ষিত বেকাররা বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। তাহলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। মুক্তি পাবে গণতন্ত্র, আর মানুষ ফিরে পাবে বাক-স্বাধীনতা।

সোমবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ঢাকা-৬ আসনের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুস সালাম বলেন, এ সরকার সিন্ডিকেটের সরকার। সব কালোবাজারিদের সঙ্গে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকের গভর্নর কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী? আসলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই গভর্নর তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার তুলনা দেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে আপস করেন না। এরশাদের সঙ্গে আপস করে নির্বাচনে কে গিয়েছিল, ১/১১ তে ফখরুদ্দিন সরকারের সঙ্গে কে আপস করেছিলেন? তখন যদি খালেদা জিয়া আপস করতেন, তাহলে আপনি (শেখ হাসিনা) নন, খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হতেন। চলমান আন্দোলনেও অনেকবার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আপসনেত্রী আপস করেননি। ’৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি আপস করেছিলেন জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা মুকিতুল আহসান রঞ্জুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

মজনু বলেন, এখনও বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক রাখা হয়েছে। আজকে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরারা ঘুরে বেড়ায় আর গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া কারাগারে। আজকে যারা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে- তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া, মহিলা দল দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার প্রমুখ।

এ সময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, কাজী আজিজুল হাকিম আরজু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, মকবুল ইসলাম খান টিপু, নাদিয়া পাঠান পাপন, এম এ হান্নান, জামশেদুল আলম শ্যামল, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির আব্দুল কাদের, ডেমরা থানা বিএনপির অন্যতম নেতা মো. আনিসুজ্জামান ও মো. সেলিম রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ সায়েম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ছাত্রদলনেতা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, সাইদুর রহমান সাইদসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ: