বাজেটের আগে এখন বিদেশিদের কাছে ভিক্ষা চাইতে হয় না : ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৫:১৩
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জুন, ২০২৪ | ৫:১৩
Link Copied!

বিএনপির আমলে বাজেটের আগে বিদেশে ভিক্ষা চাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হতো। এখন বাজেটের আগে বিদেশিদের কাছে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৮ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে এখন শুধু ডালে ভাতে নয়, পুষ্টি উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ১৮ শতাংশে আর অতিদরিদ্র ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

উন্নত অনেক দেশগুলোও মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।

কালোটাকা সাদা করার বিষয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ মূল ধারায় আনতেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যেমন মাছ ধরার আগে আধার (খাবার) দিতে হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের জন্য হলেও কালোটাকা সাদা করায় মূল ধারার ব্যাংকে চলে আসবে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ বাজেট পরিমিত বাস্তবসম্মত ও গণমুখী ও সাহসী। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বাজেট দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ উন্নয়নে অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ৩৩তম বৃহৎ অর্থায়নের দেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার) বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তবু বিএনপিকে বিদেশে গিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। এখন বাজেটের আগে বিদেশিদের কাছে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে হয় না

দলের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ তাদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কারা দুর্নীতিবাজ; তালিকা দেন। আমরা তা দুদককে দেব। যাদেরকে দুর্নীতিবাজ ভাবছেন, আপনারা তালিকা প্রস্তুত করুন। তালিকাটা দিন, আমরা দুদককে বলব তদন্ত করতে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থনীতিবিদও এখন পোলারাইজড হয়ে গেছে। বিএনপি নামটাও অর্থনীতিবিদ হয়েছে। তারা তাদের মনের যে ক্ষোভ, অসন্তোষ, ক্ষমতায় না থাকার যে বেদনা, ক্ষমতায় থাকলে যে সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকে সেটা ভেস্তে গেছে। ভেস্তে গেছে তাদেরই ভুলের কারণে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপদেষ্টাদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ অনেকেই আছে, তারা সবাই একবাক্যে পরিণিত ও সাহসী বাজেট বলেছেন। একটা চ্যালেঞ্জ আছে সেটা হলো বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ আমরাও স্বীকার করি। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি, ইনশাআল্লাহ আমরা এই চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করতে পারব। দ্রব্যমূল্য, ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এখন দেশের সংকট মোকাবিলা করার স্কিম রয়েছে নিম্নআয়ের মানুষকে সাহায্য করার জন্য এসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে দণ্ডিত এই আসামি আরাম-আয়েশে দিনযাপন করছে। এই হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের হিসাব মির্জা ফখরুল সাহেবকে দিতে হবে।

বিএনপি বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করতে মাঠে নামবে তারা এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা বাংলাদেশের সবাই জানে। তারা বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবে। যাদের মূলনেতারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবে এটা এই বছরের সেরা জোকস।

এখন যে আলোচনা হচ্ছে, নানা সাজেশনও আসছে অর্থনীতিবিদদের পক্ষ থেকে, সেক্ষেত্রে এখন কি সেগুলো বাজেটে বা বিয়োজন হওয়ার কোনো সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৯ বা ৩০ তারিখ বাজেট পাস হবে। তার আগে সংশোধন বা সংযোজনের সুযোগ সবসময় ছিল, এবারও হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকই।

ট্যাগ: