মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ এর ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ আগস্ট, ২০২৩ | ১:১২
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ আগস্ট, ২০২৩ | ১:১২
Link Copied!

 

বিশেষ প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক জালাল উদ্দিন আহমেদ এর ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।

জালাল আহমেদ এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান।সন্দ্বীপের স্বাধীন রাজা দিলওয়ার খানের তিনি নবম বংশধর। এই ঐতিহ্যবাহী পরবারে জালাল আহমেদ ১৯৪৪ সালে ১ মে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন পিপুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৮-০৮-২০১৪ইং তারিখে জালাল উদ্দিন আহমেদ মৃত্যু বরন করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার থানার গেন্ডা গ্রামে । তাঁর পিতার নাম শামসুদ্দিন আহমেদ খান। মাতার নাম রিজিয়া বেগম । পিতা-মাতার ৭ কন্যা তিন পুত্র। তার বাবা ছিলেন সরকারী ডাক্তার।

বিজ্ঞাপন

১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে তিনি মানিকগঞ্জের সংবাদ দাতা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৬১ সালে তিনি সাভার অধর চন্দ্র হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৬৫-৬৬ সেশনে তিনি জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক ছিলেন।একই সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (ঢাকা শহর শাখা) সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। এছারাও ছাত্র ইউনিয়নের জগন্নাথ কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন।১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বন্যা উপলক্ষে গঠিত জগন্নাথ কলেজের রিলিফ কমিটির ( ত্রান কমিটি) সাধারন সম্পাদক হন।

১৯৬৯ সালে ১১ দফা গনআন্দোলনের সময় সাভার ও ধামরাই থানার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন।

১৯৬৮ সালের ভাসানী ন্যাপের সাভার থানা শাখা কমিটির আহবায়ক হন। ১৯৬৯ সালে ভাসানী ন্যাপের মানিকগঞ্জ পৌর কমিটির সাধারন সম্পাদক ও তৎকালীন ভাসানী ন্যাপের মহকুমা কমিটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য হন।

বিজ্ঞাপন

জালাল আহমেদ ১৯৬৯ সালে ইর্স্টান নিউজ এজেন্সীল (এনা) মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

স্বাধীনতাত্তোর (১৯৭২-৭৪) পর্যন্ত তিনি জাহাঙ্গীর নগর  বিশ^বিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখায় চাকুরীরত ছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালে পুনরায় দৈনিক বাংলার মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

দৈনিক বাংলার সাংবাদিকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৯৮৪ সালে জালাল আহমেদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এর জেলা সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বৃহওর ঢাকা জেলা পরিষদ এর মুখপত্র সাপ্তাহিতক পদক্ষেপ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

জালাল আহমেদ বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় নৈপূণ্য ও দক্ষতার দরুন ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার স্টাফ রির্পোটার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

সাংবাদিকতা দায়িত্ব পালনে পদে পদে রয়েছে জীবনের ঝুকি। এই ঝুঁকিপূর্ন জীবনকে উত্তরন ঘটানোর লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সুসংগঠিত প্রয়াসে জালাল আহমেদ চালিয়েছেন নিরন্তর প্রচেষ্টা। তিনি একাধারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের কার্যকরী পরিষদের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্ষ্য ,সহকারী সম্পাদক,কার্যকরী পরিষদের সদস্য,বাংলাদেশ ক্রাইম রির্পোটাস এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছারাও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদদাতা সমিতির কোষাধ্যক্ষ,দৈনিক বাংলার নিজস্ব সংবাদদাতা সমিতির  সাধারন সম্পাদক,মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি,মানিকগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং সাভার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা  উপদেষ্টা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া  সংস্থার নির্বাচিত সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছারা ও মানিকগঞ্জ জেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

জালাল আহমেদ ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত । ১৯৭০ সালের নভেম্বরে সিংগাইর পৌরসভার বকচর মহল্লায় শিপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী খানের কন্যা রাফিয়া খানম জালালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর সন্তানদের নাম কামরুদ্দিন আহমেদ জাকির,লুবনা ফরিদা নিশাত ও ফাতেমা জিন্নাত নিপা। বর্তমানে কামরুদ্দিন আহমেদ জাকির ডেভলপার কোম্পানী “ধলেশ^রী হাউজিং লিঃ” এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন।

 

 

ট্যাগ: