প্রাণ থেমে যাবে নদী নালা শুকিয়ে গেলে বাংলাদেশের: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৪ | ৭:১১
স্টাফ রিপোর্টার
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৪ | ৭:১১
Link Copied!

নদী নালা যদি শুকিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে একথা উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ- ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন।

বিজ্ঞাপন

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪’ পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপিত খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), বাংলাদেশ কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহবুব কবির, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহাআলম ও বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অদিপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মনজুরুল কবীর।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে নদী দখলমুক্ত করার অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস দিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবেন। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলেন। যদি নদী নালা শুকিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান এ লক্ষ্যে আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি। কিছুটা ঘাটতি দুর্বলতা রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান’ এ লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারব ততদিন আমরা ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’ এ প্রতিপাদ্যটি ব্যবহার করব। বিশ্বের অনেক বড় বড় নদী টেমস, হাইমস, রাইন, হান নদী একসময় দূষিত ছিল; এখন সেখানকার পানি পান করা যায়।

তিনি জানান, বিশিষ্ট পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, ‘একসময় তারা বুড়িগঙ্গার পানি পান করেছেন’। আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।

 

ট্যাগ: