স্বামীকে ডিভোর্স দিচ্ছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
![](https://doiniktelegram.com/wp-content/themes/Mega%20News/pitw-assets/pitw-image/default_rep.png)
![](https://doiniktelegram.com/wp-content/uploads/2022/10/fsghdj.png)
আদালতে ডির্ভোসের আবেদন করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা এবং তার স্বামী সাবেক ফুটবলার ও ব্যবসায়ী মার্কোস রাইকোনেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বুধবার (১০ মে) সানা এক পোস্টে বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
তিনি লিখেছেন, আমরা একসঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছি। আমরা ১৯ বছর এক সঙ্গে ছিলাম। আমাদের প্রিয় কন্যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
সানা লিখেছেন, আমরা এখনও সেরা বন্ধু, একে অপরের প্রতি শীতল এবং ভালোবাসাময় বাবা-মা। আমরা পরিবার হিসেবে এবং একে অপরের সঙ্গে এক সঙ্গে সময় কাটাতে থাকব।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্টে বিয়ের ঘোষণা দেন এই দম্পতি। বিয়ের সময় তাদের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ছিল। বিয়ের আগে ১৯ বছর ধরে এক সঙ্গে থাকছিলেন তারা।
২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসে সানা মারিনের নেতৃত্বাধীন মারিনের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসডিপি)। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তবে গত এপ্রিলে হওয়া নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে পরাজিত হন সানা। এর পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পাল করছেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নানা কারণেই মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। এসেছেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে।
গত বছরের আগস্টে তিনি মাদকাসক্ত কি না তা জানতে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল তার মূত্রের নমুনা। তবে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
ওই ঘটনার শুরু হয় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকে। ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে সানা মারিনকে উদ্দাম নাচতে দেখা যাওয়ায় দেশটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ভিডিও ছড়ানোর পর বিরোধীদলীয় নেতা রিক্কা পুররা প্রধানমন্ত্রীর মাদকাসক্তি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তার ড্রাগ টেস্টের দাবি জানান।
বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালেও বিতর্কের জন্ম দেন। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরও ক্লাবে গিয়ে সে সময় আলোচিত হন তিনি।