নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে চাকরি দিচ্ছেন কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:২০
Link Copied!

 

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিকের) কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, সরকারী চাকুরী বিধি ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজ স্ত্রী লায়লা শারমিন, পিতাঃ মোঃ শামছুল আলম, মাতাঃ শরমিনা আলম, গ্রামঃ ঝিলাপাড়া, গোপালপুর, ডাকঘরঃ পাবনা সদর, উপজেলাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনাকে বিসিক এ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে চাকুরী দিচ্ছেন এমন তথ্য পাওয়াগেছে। এ বিষয়ে নিয়োগের সমস্ত ফরমালিটি সম্পন্ন করা হয়েছে। দু এক দিনের মধ্যে এই নিয়োগ আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিক এর একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারি।
লায়লা শারমিন গত ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখের ২৭১নং স্মারকে সাটলিপিকার কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিসিকের চাকুরীতে যোগদান করেছেন এবং মোঃ আরিফ হোসেন নামক বিসিকের কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন।
গত ৩ আগষ্ট ২০২৩ কারিখে বিসিক ভবনে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম ব্যক্তি কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন। সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধি লংঘন করে জাতীয় শ্লোগান জয়বাংলা এবং জাতির পিতার স্মরণে জয় বঙ্গবন্ধু খচিত ব্যানার অবমাননা করে তা ভাংচুর করা, লাঠি হাতে কর্মচারী নের্তৃবৃন্দকে মারতে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দৈনিক পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষের তরফ হতে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ না করার কারণে প্রকাশিত সংবাদটিতে পরিবেশিত সংবাদ সত্য ও সঠিক মর্মে প্রতীয়মান। যার দরুন রাষ্ট্রের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মোঃ আরিফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নিয়ম থাকলেও বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক (প্রশাসন) ও অন্যান্য পরিচালকদের কৃপায় শাস্তির পরিবর্তে পেতে যাচ্ছেন পুরষ্কার!
সরকারের প্রচলিত নিয়মে কোন নিয়োগ প্রত্যাশী আত্মীয় স্বজন থাকলে উক্ত নিয়োগ কমিটির সদস্য পদে অথবা সহযোগী হিসাবে নিয়োগ কমিটির কোন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থেকে লাঠিয়ালগিরির বিনিময়ে নিজ স্ত্রীর চাকুরী নিশ্চিত করেছেন মোঃ আরিফ হোসেন।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ০৩ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে বিসিক ভবনে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে বিসিক কর্তৃপক্ষের যোগসাজশের এবং বিসিক কর্তৃপক্ষের আরিফ প্রীতির বিষয়ে। সচিত্র সংবাদের পরেও কেন আরিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা? নিয়োগ কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থেকে নিজ স্ত্রীর নিয়োগ প্রাপ্তির বিষয়ে কুটকৌশল অবলম্বন করেনি আরিফ তার নিশ্চয়তা বিসিক চেয়ারম্যান বা বিসিক কর্তৃপক্ষ দেয়ার সুযোগ আছে কিনা? নিয়োগ কর্মকান্ডে এবং বিসিকের সার্বিক কর্মকান্ডে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্বিকার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
মোঃ আরিফ হোসেন, কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সুকৌশলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নির্দেশনার অপব্যাখ্যা দিয়ে সরকারী অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত মর্মে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তরের নিরীক্ষা দল কর্তৃক আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে। বিসিক চেয়ারম্যান এবং বিসিক পরিচালক পর্ষদের যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের সরকার বিরোধী মনোভাবাপন্ন একজন কর্মকর্তার (বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য যিনি সিনিয়র হওয়া স্বত্তেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না) আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে একচেটিয়া নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে মোঃ আরিফ হোসেন।
বিসিকের চলমান নবম গ্রেডের চাকুরী প্রত্যাশী লায়লা শারমিন, স্বামীঃ মোঃ আরিফ হোসেন, মাতাঃশারমিনা আলম, পিতাঃ সামছুল আলম, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ ঝিলাপাড়া, গোপালপুর, ডাকঘরঃ পাবনা সদর, উপজেলাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনা এর নিয়োগপ্রাপ্তির বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। লায়লা শারমিন এর নিয়োগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত মর্মে মোঃ আরিফ হোসেন বিভিন্ন স্থানে স্বদর্পে ঘোষনা দিয়ে আসছেন মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মত ব্যক্ত করেছেন।
এ ছাড়াও কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিদিন (সরকারী বন্ধের দিনসহ) ১ হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগ কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি এই সম্মানী ভাতা নিচ্ছেন বলে বিসিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যেই তিনি অগ্রীম প্রায় কোটি টাকা গ্রহন করেছেন যা সম্পূর্ণ বিধি বর্হিভুত। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এক একজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি ১০/১২ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ চুক্তি করেছেন মর্মে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে বিসিক ভবনে।

প্রশ্নবিদ্ধ বিসিক কর্তৃপক্ষের বে-আইনী কাজের প্রতিকার না করার কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের নির্বিকার ভূমিকার। মোঃ আরিফ হোসেন, কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার সম্পদ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া দরকার দুদকসহ অন্যান্য সরকারী সংস্থার।

বিজ্ঞাপন

তিন বছরের কম সময় চাকুরী করে তিনি কিভাবে একাধিক ফ্লাট এবং প্লটের মালিক বনে গেছেন? তাছাড়া তার বাবা-মা ভারতীয় নাগরিক মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে এবং অবৈধভাবে আয়কৃত অর্থের বিরাট একটি অংশ তিনি ভারতে পাচার করছেন মর্মেও জনশ্রুতি রয়েছে। ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সরকারের-ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিকের কর্মীব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমি বিধি বিধান মেনেই আমার সব কাজ করছি। আমার কোন অবৈধ সম্পদ নেই।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: