বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অনিয়ম ও চলমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৮:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৮:০২
Link Copied!

 

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রক্রিয়ায়-অনিয়মতান্ত্রিক ও চলমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডাঃ আবদুস সালাম খান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশন।

শুরুতে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে প্রেস নোট থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন- ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সুবেদার আবদুল ওহাব, বীর প্রতীক, গ্রুপ-কমান্ডার সেক্টর- ০২ ও আবদুল বারেক হাওলাদার গ্রুপ কমান্ডার, সেক্টর- ০৯ ও হেদায়েতুল ইসলাম, মহাসচিব, ন্যাশনাল এফ. এফ. কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও রুহুল আমিন মজুমদার, সাবেক মহাসচিব, ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশন এবং মাহবুবল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশন।

মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নামের সংগঠনটি উপহার দিয়েছেন। আমরা সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া পবিত্র সংগঠন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে কার্য্যকর করার নিবেদন করছি, ইতিমধ্যে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন লেঃ কর্ণেল জাফর ইমাম বীর বিক্রম এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে গড়িমশি করে চলছে (মামলা নং-৩৪৮০/২০১৮)। বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত চক্রটি রাজাকার ও অ-মুক্তিযোদ্ধাদের টাকার বিনিময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সন্বিবেশিত করে আসছে। এছাড়া ২০১৮ সালে মেয়াদউত্তীর্ণ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমিটির কোন বৈধতা নেই- এমন কি মহামান্য হাইকোর্ট লুট করার দায়ে দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে রায় প্রদান করে (মামলা নং- ১২০৫০/২০১৪ এবং ১৩২১৭/২০১৬)। অথচ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মসাৎকৃত টাকা হজম করার প্রত্যয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভ্রান্তি এবং অনৈক্য করার লক্ষ্যে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা বলে মহাসমাবেশের ডাক দিচ্ছে, যা অবৈধ এবং অনিয়মতান্ত্রিক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা অনৈক্য থাকায় গত ২৮ অক্টোবর রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর প্রেতাত্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে অমানষিক অত্যাচার করে হত্যা করে। আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই মর্মে দেশবাসীকে অবহিত করছি যে, সন্ত্রাসীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: