সাটুরিয়ায় সাব-রেজিষ্টার না থাকায় ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৫:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৫:৪২
Link Copied!

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় সাব -রেজিস্টার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস চলায় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।অপরদিকে সাবেক উপজেলা সাব রেজিস্টার অভিজিৎ কর দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা অবস্থায় প্রায় ২ শতাধিক দলিলে তার ডেলিভারি স্বাক্ষর না থাকায় দলিল ডেলিভারি দিতে পারছে না সাব রেজিস্টার অফিস। এছাড়া এ অফিসের সঙ্গে জড়িত প্রায় শতাধিক দলিল লেখক বেকার সময় পার করছেন।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব- রেজিস্টার অভিজিৎ কর বদলি হওয়ায় জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী শিবালয় উপজেলার সাব- রেজিস্টার আশিষ কুমার সরকারকে এই অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সাব রেজিস্টার আশিষ কুমার সরকার সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিস করেন, যার ফলে জমির রেজিস্ট্রি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

কলেজ শিক্ষক-ছাত্রীর পরকীয়া প্রেমের বলি হলোন শাশুড়ী [ভিডিও সহ]

(3) Facebook

উপজেলার একাধিক দলিল গ্রহীতারা জানান, আমরা এক বছর আগে দলিল রেজিস্ট্রি করেছি। জমির দলিল আনার জন্য সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে আমাদের বলে আগের সাব রেজিস্টার দলিলে ডেলিভারি স্বাক্ষর না করে অনত্র বদলি হয়ে গেছেন। তিনি একদিনে এসে দলিলের স্বাক্ষর করে দিবেন তারপর আমাদের দলিল ডেলিভারি দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলার দলিল লেখকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহে একদিন জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ব্যাংক ড্রাফট,জমির কাগজপত্র সহ অনান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জোগাড় করতেই দিন প্রায় শেষ হয়ে যায়। কোন কারণে ঐদিন জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পারলে,পরের সপ্তাহের জন্য অ

পেক্ষা করতে হয়। নানা ভোগান্তির কারণে জমি বেচাকেনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেউপজেলাবাসী। ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি দলিল লেখকরাও বেকার হয়ে পড়ছেন।

সাটুরিয়া উপজেলার দলিল লেখক সমিতির আহবায়ক ও সাটুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান,দীর্ঘদিন থেকে সাটুরিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্থায়ী কোন সাব রেজিস্ট্রার নেই,ফলে জমি বেচা কেনায় হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক দলিল লেখক।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা রেজিস্টার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বদলি জনিত কারণে উপজেলার সাব রেজিস্টার পদটি শূন্য থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে উপজেলার শূন্য পদে সাব রেজিস্টার যোগদান করবেন। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: