কর্মবিরতির কর্মসূচি পেছালেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ আগস্ট, ২০২২ | ২:০৬
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ আগস্ট, ২০২২ | ২:০৬
Link Copied!

জ্বালানি তেল বিক্রির ৭ শতাংশ কমিশনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতির কর্মসূচি পিছিয়ে সরকারকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে পেট্রল পাম্প বন্ধ রেখে ‘প্রতীকী কর্মবিরতির’ ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

এর আগে গত বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩১ অগাস্ট ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে পেট্রল পাম্প বন্ধ রেখে ‘প্রতীকী কর্মবিরতি’ পালন করবেন তারা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু রোববার বিকেলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি-এর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বদলানো হয়েছে বলে সোমবার বিপিসির ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান নাজমুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, তাদের দাবিগুলোর বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

“আমরা তাদের বলেছি, আপনারা কিছু দিন সময় দেন। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আপনারা একটু অপেক্ষা করেন।”

বিজ্ঞাপন

নাজমুল হক বলেন, ” গতকাল বিপিসির সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদেরও মনে হয়েছে, এই বিষয়গুলোতে একাধিক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা প্রয়োজন।

“তাই আমরা ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করছি। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হবে।”

৫ দাবি

১. জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি এবং অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তেল বিক্রির কমিশন তেলের দামের ওপর শতকরা হারে নির্ধারণ করা।

২. তেলের মাপে কারচুপি রোধে নিয়মিত মনিটরিং/অভিযান পরিচালনা করা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে ২০১১ সালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপিসি বা বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধি ছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই এর অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করা। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারচুপি রোধে নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য অবিলম্বে তেল কোম্পানি, বিএসটিআই এবং অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু করা।

৩. বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোনো দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান পাম্পের কাগজপত্র পরীক্ষা করার নামে পাম্প মালিকদের হয়রানি করা যাবে না। পাম্প পরিদর্শনকালে সঠিক ও বেঠিক উভয় তথ্য লিপিবদ্ধ এবং প্রচার করতে হবে এবং এর কপি মালিককে সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৪. সওজের ইজারা মাশুল যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করতে হবে। বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং বিএসটিআই এবং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাম্পের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিবারেশন সার্টিফিকেট নবায়নের নিয়ম বাতিল করতে হবে।

৫. জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাস্তায় ট্যাংক লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে চালককে পুলিশি হয়রানি করা যাবে না। ট্যাংক লরির কাগজপত্র ডিপো গেইটে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ২০১৬ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ডিপোতে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। ট্যাংক লরি চালকদের জন্য বিআরটিএর আলাদা কাউন্টার করার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। শোধনাগার সুবিধা সমন্বিত বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ডের শোধনাগার আগের মত চালু করতে হবে।

ট্যাগ: