৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে সরকার-প্রশাসন যখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল, তখন আমাদের নেতাকর্মীরাই মন্দির পাহারা দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন,এই সাহসী উচ্চারণেই আলোড়ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা।
মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উপজেলার একাধিক পূজামণ্ডপ ঘুরে তিনি বলেন,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। বিএনপি কখনো কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে না। সুখে-দুঃখে আমরা সবসময় জনগণের পাশে থেকেছি, থাকবোও। দেশের ১৮ কোটি মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারে—সেই লক্ষ্যেই তারেক রহমান লন্ডন থেকে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।রিতা দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দেন— বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণের শক্তি আর গণতন্ত্রই এদেশের একমাত্র ভিত্তি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষে ভোট দিন। কারণ গণতন্ত্রের বিকল্প নেই, ধানের শীষেরও নেই।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশবাসী প্রকৃত অর্থে স্বস্তি ও উন্নয়নের সুফল ভোগ করবে। আর সেই পথেই বাংলাদেশ আবারো মুক্ত হবে দুঃশাসন ও দুর্নীতির কবল থেকে।
পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আফরোজা খানম রিতা বলেন,আমরা চাই সবাই মিলেমিশে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। অতীত প্রমাণ করেছে—জনগণের ভোটেই বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে এবং ভবিষ্যতেও জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই সরকার গঠন করবে। এসময় জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান, জেলা জজকোর্টের পিপি নুরতাজ আলম বাহার,জেলা কৃষক দলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল, পৌর বিএনপি সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ যাদু,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ প্রমুখ।
