ধামরাইয়ে স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বামী (ভিডিও সহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৬:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটঃ ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৬:৩৭
Link Copied!

ধামরাই ( ঢাকা) প্রতিনিধি :

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের কংসপট্টি এলাকার নাসির হোসেন বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চর ডাউটিয়া এলাকার আতোয়ার ফকির এর মেয়ে শিরিন আক্তার মুক্তাকে। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়, তাদের সংসারে নানা রকম সমস্যা দেখা দিলে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

ডিভোর্সের এক বছর পর নাসির আবার বিয়ে করে কুল্লা ইউনিয়ন, পুনরায় বিয়ের পর আবারও তাদের কন্যা সন্তান হয়। এ দিকে নাসিরের প্রথম স্ত্রী মেয়ের ভরণপোষণের জন্য কোর্টে মামলা করে,সেখানে রায় হয় প্রতিমাসে দুই হাজার করে টাকা দিতে হবে মেনে নেয় প্রতিমাসে টাকা দিলে ও সে টাকা নাকি তারা পায় না। পরবর্তীতে আবার প্রথম স্ত্রী নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানিকগঞ্জ কোর্টে গিয়ে ১৫ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করে। এতে করে কিছু প্রথম স্ত্রীর হাত থেকে কিছু দিন মুক্তি পায়। নাসির বলেন আমার দুই স্ত্রী দুই জায়গায় বাসা ভাড়া থাকে তাদের প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা দেই। কিন্তু আমার প্রথম স্ত্রীর সে টাকায় তার হবে না, সে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা দাবি করে, আমি দিতে না পাড়ায় সে বিভিন্ন ভাবে লোকজন দিয়ে আমাকে মারার হুমকি দেয়, আমি যেখানে চাকুরী করি সেখানে গিয়েও হুমকি দেয় আমাকে মেরে ফেলার। এ বিষয়ে আমি ও পাল্টা অভিযোগ করি থানায়, তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সমাধান না করে আমাকে মামলার হুমকি দেয়। তারা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার কাউকে মানে না।

বিজ্ঞাপন

শিরিন আক্তার মুক্তাকে না পেয়ে তার পিতার আতোয়ার ফকিরের সাথে কথা বলি তিনি জানান যে তারা কোন জায়গায় বসতে পারবে না, কোন লোকজন যে এ বিষয় নিয়ে কথা না বলে, আমার ভাতিজা এসআই হাসান সে যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।

এ বিষয়ে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন ০৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে এর আগে অনেক বার পাঠিয়েছি তারা আসলেও আমাদের কোন কথা বার্তা শুনে না, বলে আমাদের অনেক লোক আছে বিচার করার জন্য। তাদের এমন ব্যবহার দেখে আমি আর কিছু বলি নাই তারা যেভাবে মন চায় করুক এবিষয়ে আমি জড়াতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ: