মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে নয়াপাড়া মডেল একাডেমি প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করেছে “বেসরকারি বৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫”।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে অবস্থিত নয়াপাড়া মডেল একাডেমি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর উপজেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে সার্বিক পরিবেশ ছিল শান্ত, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান করেন। প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়—যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সত্যিকারের প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
অভিভাবক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসেন বলেন, “আজকের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়, শিশুদের চরিত্র গঠন, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে এমন সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়, শিক্ষক ও অভিভাবক—এই তিন পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে একটি শিশুকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখুক। বিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে আমরা সবসময় শিক্ষক-অভিভাবক হিসেবে সহযোগিতা করে যাব।”
নয়াপাড়া মডেল একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন—“মফস্বল এলাকার শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও বৃহৎ পরিসরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের মননশীলতা, আত্মবিশ্বাস ও পরীক্ষাভীতি দূর করতে আমরা প্রতিবছরই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছি। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রতি শতভাগ অঙ্গীকার রেখে আমরা এই বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং তাদের প্রস্তুতি, মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতেও এই কার্যক্রম সহায়ক।
দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করে এবং অভিভাবকেরা এমন উদ্যোগের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

