আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন. এস আলমের টাকা শুধু শেখ হাসিনা খায় না। বর্তমানের দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা এস আলমের টাকায় ব্যবসা করছে ও খাচ্ছেন। ওই টাকায় বিদেশে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াচ্ছেন। এই জায়গায় মাথায় রাখতে হবে ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন কিভাবে স্বাধীন নবাবের পতন ঘটেছিলো। কারা কারা আজ আমার আপনার মাধ্যে বাস করে মীর জাফর ,উর্মিচাঁদ, ঘোষেটি বেগম ও জগৎশেটের রুলপ্লে করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে প্রাঙ্গণে আমার বাংলাদেশ পার্টির জুলাই গণসমাবেশ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা এবি পার্টির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জনির সভাপতিত্বে অননান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ,এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক সেলিম খান, জুলাই শহীদ আফিকুল ইসলাম সাদ’র পিতা সফিকুল ইসলাম, জুলাই যুদ্ধা রমজান মাহমুদ ও আসাদুল্লাহ প্রমূখ।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন কারা কারা কোন দলের আগামীতে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চায় , জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন আনতে চায়, এস এ আলমের টাকায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় ও ১৪শ শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারী করতে চায় সেই গাদ্দারদের চিনতে হবে। তারা বাংলাদেশের মানুষ না ।
ফুয়াদ আরো বলেন ,আমাদের মুদ্রা কথা হচ্ছে বাংলাদেশ স্বার্থে শত্রুপক্ষের সঙ্গে কোন আপোষ হবে না। দিল্লি আধিপত্য প্রশ্নে কোন আপোষ হবে না। তা কংগ্রেসের নামে আসুক, বিজিবির নামে আসুক,গান্ধী পরিবারের নামে আসুক কিংবা মোদির নামে আসুক এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বার্থে আমরা কোন ছাড় দেব না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন তারা জুলাই সনদে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তিনশ আসনের মধ্যে দুইশ আসনে নির্বাচন হবে সরাসরি ভোট আর বাকী একশ আসন হবে পি আর পদ্ধতিতে। জুলাই সনদ বাস্তাবায়ন না হলে আগামী ফেব্রæয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এবি পার্টি নির্বাচনে যাবে।
