বুধবার

৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এখন সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকার সুরক্ষার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ২৬

“ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এখন সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকার সূরক্ষার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ডিজিটাল নিরাপত্তা ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা টেকসই হয় না। তাই অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন এখন অত্যন্ত জরুরি।”

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আজ মানিকগঞ্জে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ আয়োজিত “সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন ভয়েস- এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা একে অপরের পরিপূরক। নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়তে সবার ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।“

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তায় সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীদের। নিজেকে নিরাপদ রাখতে সেফটি টুলসগুলো ব্যবহার করা জরুরি। পাশাপাশি নিজেদেরকেও সংবেদনশীল হতে হবে। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।”

তিনি আরও বলেন যে, “যেকোনো সংবাদ প্রকাশের পুর্বে সকল তথ্য, ছবি বা ভিডিও যাচাই করা উচিত, সেক্ষেত্রে সংবাদ বা রিপোর্টের স্বচ্ছতা বজায় থাকে।“

কর্মশালায় ডিজিটাল সুরক্ষার বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন ভয়েস এর পরিচালক এস পি সাহা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল যুগে আমাদের অনলাইন নির্ভরতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কাজ করছেন। তাই তথ্য সুরক্ষা ও সচেতন ডিজিটাল আচরণ এখন অপরিহার্য, যাতে তাদের কাজের নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে।” এছাড়াও তিনি গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীদের অনলাইন ও ডিজিটাল সুরক্ষার বিভিন্ন বাধা, বাধাগুলো উত্তরণের উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন জাতীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করা স্থানীয় তরুণ সাংবাদিক এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অনলাইন সুরক্ষার বিভিন্ন দিক, ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ বা থ্রেট মডেলিং, নিরাপদ ব্রাউজিং ও যোগাযোগ, এনক্রিপশন, দুই ধাপ বিশিষ্ট লগইন ব্যবস্থা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন এবং প্রাইভেসি সচেতনতা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

এ বিভাগের আরও সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ