মাহিদুল ইসলাম মাহি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিমের নেতৃত্বে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার মধ্যরাতে বলড়া ইউনিয়নের কোকরহাটি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইউসুফ আলী এবং আব্দুল করিমের পক্ষ থেকে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলেও জানান হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান। ইউসুফ বলড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি এবং করিম ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগপত্রসূত্র ও ইউসুফ আলী জানান, বলড়া ইউনিয়নের কোকরহাটি গ্রামের আব্দুল করিম, মো. সুজন, সাইফুল, মাসুদ, মো. রতন, মানিক, সোহেল, রুবেল, সজল ও রিংকুর নেতৃত্বে ৫-৭ জন সোমবারে রাত ১১ টার দিকে দেশিয় অস্ত্রসহ বাড়ির গেট ভেঙে ফেলে। এরা ঘুরে ঢুকে ইউসুফের স্ত্রী, তার ছোট ছেলেকে মারধর ও শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে। মোটরসাইকেল ভাংচুর ও আলমারি ভেঙে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমকে বলেন, আমার ভাগিনাকে ইউসুফ চাচার ছেলে নিবির আগে মারধর করলে মারধরের বিষয়ে জানতে ওই বাড়িতে যাই। তখন নিবিরসহ কয়েকজন কিশোর গ্যাং আমাদের উপর হামলা করে। আমরা মোটরসাইকেলসহ কোনকিছুই ভাংচুর করিনি। আর কোন নারীকে মারধরও করিনি। আমার ভাগিনাকে মারধরের ঘটনায় আমরাও মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ইউসুফ আলীর বড় ছেলে আবির হোসেন বলেন, ব্যাটমিন্টন খেলা নিয়ে শীতের সময় আমাদের সাথে করিম ভাইয়ের লোকজনের ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে কয়েকদিন ধরে করিম ভাইয়ের ১২-১৩ বছরের ভাগনে নিয়মিত আমার ছোট ভাই নিবিরকে ফোনে মারধর করাসহ দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। পরে ঘটনার দিন রাতে ওই ছেলের সাথে আমার ছোট ভাইয়ের মসজিদে নামাজের সময় দেখা হলে হুমকি কেন দিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চায় আমার ছোট ভাই। তখন বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমার ভাই তাকে একটি থাপ্পর দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আমার মাকে করিমের লোকজন মারধর করে। আমাদের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং আমার বাবার মাল কেনার তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে আমি ঘটনা শুনেছি।
হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, দুটি পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছিলেন বলেও জানান ওসি।