সেতুর সাথে বাঁশের পুলের সংযোগ – ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ১৫ গ্রামবাসী
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা ইছামতি নদীর উপর নির্মিত ক্ষতিগ্রস্থ
সেতুটি দীর্ঘ ২২টি বছরেও পূর্ন মেরামত করা হয়নি। ফলে অন্তত ১৫ টি
গ্রামের কয়েক হাজার লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে এই ভঙ্গুর সেতুর উপর দিয়ে
প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। বছর দুয়েক আগে বন্যায় দু’ পাশের মাটি ধ্বসে
গেছে। বিকল্প পথে ৬ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই
ক্ষতিগ্রস্থ এই সেতুর ওপরে বাঁশের সাঁকোর সংযোগ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত
করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোন সমযে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে
এলাকার লোকজন।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে ইছামতি নদীর উপর প্রায় ১২
লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মান করে। গত কয়েক বছর যাবত কালিগঙ্গা নদীর
ভাঙ্গনে সেতুটি মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, সেতুাটির পশ্চিম পাশের সম্পূর্ন অংশ নদীতে
বিলিন হয়ে যায় এবং পূর্ব পাশের দুইটি পাটাতন ধ্বসে এবং পিলার ভেঙ্গে রড
বেড়িয়ে গেছে। এলাকার লোকজন যাতায়াতের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটির উপরে
বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করে।
এ সেতু পেড়িয়ে প্রতিদিন ঘিওর উপজেলার কুস্তা, ঠাকুরকান্দি, দৌলতপুর
উপজেলার ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, বনগাঁও, নারচি, ও জিয়নপুরসহ
অন্তত ১৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকার
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অধিক ভাড়া ব্যয়
করতে হচ্ছে। কোন ধরনের যানবাহনও চলাচল করতে পারছেনা।শিশু শিক্ষার্থীদের
নিয়ে চরম দূচিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা।
ঘিওর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এই সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন
প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে সেতুর সাথে সংযোগ দেয়া
হয়েছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মান করা প্রয়োজন।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুল ইসলাম টুটুল মুঠোফোনে কলেন, আমি সেতুটি
নির্মানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে কয়েক দফায় আলাচনা করেছি। ১জনসাধারন
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। যে কোন সময় বড়
ধরনের দুঃর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকার লোকজন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহিনুজ্জামান বলেন, সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি
সম্পর্কে আমি অবগত আছি। দ্রুত সেতুটি পুণ:নির্মান কিংবা সংষ্কারের
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।