মাহিদুল ইসলাম মাহি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সাতশ বছরের ঐতিহ্য শাহী মাচাইন মসজিদ ও শাহ রুস্তম বোগদাদী (রহ:) এর মাজার কমিটির দ্বন্দে সাত্তার চৌধুরী (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিকেল পৌনে তিনটার দিকে শাহ রুস্তম বোগদাদী (রহ:) এর মাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান।
বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রেজার আত্মীয় কাজী শাকিলের হামলায় তিনি আহত হন বলে আহত সাত্তার চৌধুরী অভিযোগ করেন । আহত বৃদ্ধ সাত্তার চৌধুরী মাচাইন গ্রামের মৃত জলিল উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে। হামলার সময় সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী ও বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী রেজা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা আরো জানান, শাহ রুস্তম বোগদাদী (রহ:) এর মাজারে শুক্রবার দিনসহ প্রতিদিনই বিভিন্ন লোকজন মানতের মুরগি, হাস, ছাগল, গরু ও দুধ মাজারে দেন। এছাড়াও নিয়মিত লোকজন এসে বাচ্চাদের মুখে ভাত (শিন্নি মুখে) দিয়ে থাকেন। নামাজের পর সাত্তার চৌধুরীসহ কয়েকজন শিন্নি মুখে দিচ্ছিলেন। এসময় কাজী শাকিল সাত্তার চৌধুরীকে মারধর করে মাজারের উপর থেকে নিচে ফেলে দেন। পরে কিল ঘুশি দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে কাজী শাকিলের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে কাজী শাকিলের আত্মীয়, মাজার কমিটির সদস্য এবং বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রেজা বলেন, সাত্তার চৌধুরী আওয়ামীলীগের নেতা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানা চৌধুরীর আত্মীয়। তিনি এলাকার মেলা মানুষকে এতোদিন জালাইছে। ওখানের বাবলু মিয়া, জিন্নাহ মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া সবাই আওয়ামীলীগের। আওয়ামীলীগের দোসররা মাচাইন মসজিদ ও মাজার এতোদিন ধরে দখল করে খাচ্ছে। মানতের মুরগি, হাস, ছাগল, গরু ও দুধ বিক্রি অর্থ কিছু মসজিদের ফান্ডে দিয়ে বাকীটা চুরি করে খাচ্ছে তারা। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগের দোসরদের আজ মাজার থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
তার আত্মীয় কাজী শাকিল বৃদ্ধকে মারধরে করার বিষয়ে বলেন, মারধর করা হয়নি। ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাজার কমিটির সভাপতি ও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, এ বিষয়ে তিনি জানেননা। খোঁজ নিচ্ছেন।