বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় কম্পন অনুভূত

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, সকাল ৬টা ৪০ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এটি মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প ছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরই এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ফলে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলের জেলাগুলোতে। বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তিস্থল ছিল ৫০১ কিলোমিটার দূরে।

এদিকে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬.৪০ মিনিটে ভারত থেকে ২১৬ কিলোমিটার (১৩৪ মাইল) দূরে বঙ্গোপসাগরে ৫.৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) এবং তা এলাকাটিতে ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের অগভীরতার কারণে একই মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় কেন্দ্রস্থলের কাছে কম্পন বেশি তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

এতে বলা হয়, আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে ভূমিকম্পের কারণে কম্পনের সম্ভাব্য অযাচাইকৃত প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছি। এই সম্ভাব্য ভূমিকম্পের তীব্রতা বা গভীরতা সম্পর্কে এখনও কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করতে পারি যে, আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। উল্লিখিত অবস্থান, মাত্রা এবং সময় আমাদের সিসমিক মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্দেশক। তবে এসব পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের পর্যবেক্ষণ দল জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি থেকে আরও সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষা করছে।

Scroll to Top