আদর্শিক ও ত্যাগীদের নিয়ে আগামীতে গনমানুষের সংগঠন গড়ে তোলা হবে-আফরোজা খান রিতা

Spread the love

মোঃ শাহানুর ইসলাম-:

 তৃতীয় বারের মত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কর্ণধারের দায়িত্ব পেলেন জেলা বিএনপির দুই বারের সভাপতি,বিএনপির চেয়ারপার্সণের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য,সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে শিল্পপতি আফরোজা খান রিতা।

আজ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত একপত্রে আফরোজা খান রিতাকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের এক আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়।

গত ২০১৩ সালের ৮ই জুন রিতাকে সভাপতি করে ১৬ সদস্যের কমিটি এবং ২০২১ সালের ১৪ই মার্চ দলের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন আফরোজা খান রিতা।এসময় জেলায় মোট ৪৫ ভোটের মধ্যে ৪২ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়ে চলতি সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পাালন করে আসছিলেন।

প্রায় ১যুগ বৈরি পরিবেশে জেলা বিএনপির দায়িত্বপালন কালিন সময়ে তিনি নিজ রাজনৈকিত কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ,সেমিনার,কর্মশালা করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমÍ,বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ,দেশের ইতিহাস-ঐতিজ্য,ধর্ম-সাংস্কৃতিক বিষয়,মুক্তিযুদ্ধ,সমসাময়িক বিশ্ব ও নেতা-কর্মীদের করণীয়,রাজনৈতিক ঞ্জান,প্রজ্ঞা, মেধা বিকাশ,দলীয় নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয় নিয়মিত চর্চা করাতেন।আওয়ামী নেতা-কর্মী ,পুলিশ বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সীর অত্যাচারে যখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাড়ি-ঘরে থাকতো পারতো না,নিজস্ব ব্যবসা-বানিজ্য ,চাকুরি করতে পারতো না ঠিক সেই রকম একটা সময়ে শহরের পাশেই গিলন্ড এলাকায় বাউন্ডারী ঘেরা মুন্নু সিটিতে ফ্যাক্টারীর ভিতরে আফরোজা খান রিতার তত্ত্বাবধানে বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করেছেন রিতা।

তিনি দেশের বিভিন্ন নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,রাষ্ট্রবিঞ্জানী সহ বিভিন্ন বিয়য়ের স্কলারদের এনে অতি গোপনে বিগত প্রায় ১যুগ ধরে এসব প্রগ্রাম করিয়ে পুরো জেলার নেতা-কর্মীদের বুদ্ধিভিত্তিক কর্মীতে পরিনত করেছেন।

বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা বলেন,ক্যাডার ভিত্তিক যে সব সংগঠন আছে ,তাদের বই পড়ে,মেধার বিকাশ ঘটিয়ে রাজনীতি করতে হয় ঠিক সেই ভাবেই জেলার নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন আফরোজা খান রিতা।

জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক,জেলা ড্যাবের সাধারন সম্পাদক ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা. জিয়াউর রহমান বলেন,আফরোজা খান রিতার তত্ত্বাবধানের মানিকগঞ্জে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন করে আমরা দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা,দেশপ্রেম,বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি।যে নেতা-কর্মীরা এতাকাল শুধু মিছিল-মিটিং কেই রাজনীতি মনে করতো এখন তারাই চমৎকার যুক্তিদিয়ে,গনতন্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলছে।এটা সত্যিই একটা মিরাকল আর দীয় একযুগে আফরোজা খান রিতার অক্লান্ত পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে।

জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন,পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নজরের বাইরে নিয়ে গাছপালা ঘেরা মুন্ন সিটির ভিতরে গোপনে গত একযুগের হাতে-কলমে রাজনৈতিক শিক্ষার যে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় আফরোজা খান রিতা পরিচালনা করেছেন তা বাংলাদেশে বিরল।আজকের নেতা-কর্মীদের কথাবার্তা আর একযুগ আগের নেতা-কর্মদের কথাবার্তার পার্থক্য যে কেই বুঝতে পারবে।

জেলা বিএনপির সাবেক সাংঠনিক সম্পাদক,জেলা জজকোর্টের পিপি ও সদ্যগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আ,ফ,ম নূরতাজ আলম বাহার বলেন,আমাদের জেলার নেত্রী আফরোজা খান রিতা অত্যন্ত মেধাবী একজন মানুষ,তিনি বোর্ডেস্ট্যান্ড করা ছাত্রী।মূলত তিনি নিজে মেধাবী তাই পুরো সংগঠনকে গত একযুগে মেধাবী করে তুলেছন।

জেলা চেম্বার্স অফ কমার্সের সভাপতি আব্দুল সালাম বাদল বলেন,জেলার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে,পৃষ্টপোষকতা করে,মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাধ্যমে,সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত রেখে,৫ই আগষ্ট হতে জেলা আইন-শৃংখলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আফরোজা খান রিতা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এ বিষয়ে সদ্য জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব প্রাপ্ত আফরোজা খান রিতা বলেন.বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ,স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির সাথে আমার মরহুম বাবা হারুনার রশিদ খান মুন্নু আজীবন উন্নয়নের রাজনীতি করে গেছেন।

আমি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় জেলার নিবেদিত প্রাণ ,ত্যাগী-বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের যথাযথা সম্মান দিয়েই সবাইকে নিয়ে দল পূর্ণগঠন করবো।শিক্ষা জীবনে এক একজন এক একটি বিষয়ে পড়ালেখা করে কিন্তু দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হলে,মানুষের কল্যানে রাজনীতি করতে হলে যে কোন বয়সেই হোক জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প নেই ।তাই বিগত সময়ে আমরা হাজারো হুমকি ধমকি উপেক্ষা করেও রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন ,মেধা বিকাশ,দলের নীতিমালা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নেতা-কর্মীদের মেধা ভিত্তিক প্রশিক্ষন পরিচালনা করেছি যা অব্যাহত থাকবে।আমরা তারেক জিয়ার ৩১ দফার মাধ্যমে উন্নয়নের রাজনীতিকে মানুষের মাঝে পৌছে দিবো।

নবগঠিত আহবায়ক কমিটির অপর সদ্যসরা হলেন,এস এ জিন্নাহ কবীর,অ্যাড,আজাদ হোসেন খান,আতাউর রহমান আতা,অ্যাড,আ,ফ,ম নূরতাজ আলম বাহার,সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন ও গোলাম আবেদিন কায়সার।

জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Scroll to Top